গরমকালে আমাদের মাথার ত্বক বেশি ঘামে, ধুলোবালি বেশি লেগে থাকে এবং চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যায়। এতে চুলের ক্ষতি হয়, উজ্জ্বলতা হারায় ও রুক্ষ হয়ে যায়। কেমিক্যাল পণ্য ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নিলে চুল থাকবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান। আসুন ধাপে ধাপে জেনে নিই:
এতে রয়েছে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত শক্তিশালী হারবাল উপাদানসমূহ, যেমন: আমলকি, মেথি, হরীতকী, বেতো শাক, অ্যালোভেরা, তিলের তেল
আমলকি – চুলের গোড়া মজবুত করে ও খুশকী দূর করে
মেথি – চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক
হরীতকী – চুলের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে
বেতো শাক – চুলের ঘনত্ব ও দৈর্ঘ্য বাড়াতে সহায়ক
অ্যালোভেরা – চুলের লালচে ভাব ও খুশকী কমাতে সহায়ক
তিলের তেল – চুলের গভীর পুষ্টি জোগায়
উপকারিতা:
চুলের গোড়া মজবুত করে
চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
চুলের আগা ফাটা রোধ করে
চুল পড়া কমায়
চুলের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে
নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
চুলের গোড়া শক্ত করে
স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
ড্যামেজ রিপেয়ার করে
ব্যবহার পদ্ধতি:
মেথি বীজে আছে প্রোটিন ও নিকোটিনিক অ্যাসিড, যা চুল পড়া কমায় ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি:
লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড চুলের ড্যান্ড্রাফ দূর করে ও চুলের প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে।
ব্যবহার পদ্ধতি:
অ্যালোভেরা ত্বক ও চুলের ময়েশ্চার ধরে রাখে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান স্ক্যাল্পকে সুস্থ রাখে।
ব্যবহার পদ্ধতি:
আমলকি ভিটামিন C-এ ভরপুর। এটি চুলের প্রাকৃতিক কালার ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
ব্যবহার পদ্ধতি:
প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
ফলমূল (তরমুজ, বেদানা, আনারস), শাকসবজি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার (বাদাম, মাছে) খান।
এগুলো চুলের প্রাকৃতিক মসৃণতা ও আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
বেশি গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া
ব্লো-ড্রায়ার বা স্ট্রেইনারের অতিরিক্ত ব্যবহার
রাসায়নিকযুক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট
এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর যত্নে আপনার চুল থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও প্রাণবন্ত। মনে রাখুন, বাইরে থেকে যত্নের পাশাপাশি সঠিক ডায়েট ও পর্যাপ্ত বিশ্রামও খুব গুরুত্বপূর্ণ। চুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনুন হারবাল হেয়ার অয়েল এর মাধ্যমে Herbal Hair Oil